২০১৫: চ্যালেঞ্জিং সূচনার পর ঘুরে দাড়ানোর বছর

Feb 08 2016

এক নজরে গ্রামীণফোনের ২০১৫ সাল

  • ১০,৪৮০ কোটি টাকা আয়, বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২.০%
  • গ্রাহকসংখ্যা ৫.৬৭ কোটি, মার্কেট শেয়ার ৪২.৪%.
  • ট্যাক্স প্রদানের পর নিট মুনাফা ১৮.৮% মার্জিনসহ ১৯৮৭০কোটি টাকা এবং ইপিএস ১৪.৫৯ টাকা
  • ৩জি নেটওয়ার্ক স্থাপনে এবং ২জি নেটওয়ার্ক এর ধরণক্ষমতা ও সক্ষমতা উন্নয়নে বিনিয়োগ ১৯৩০ কোটি টাকা
  • পরিশোধিত মূলধনের ৬০% শতাংশ চূড়ান্ত মূনাফা ঘোষণা

গ্রামীণফোন লিঃ ২০১৫ সালে ১০,৪৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২% বেশি । নতুন গ্রাহক এবং সেবা থেকে অর্জিত রাজস্ব (আন্তসংযোগ আয় ব্যতীত) বেড়েছে ২.৪%(আগের বছরের তুলনায়)সেই সাথে গ্রাহকদের ব্যবহার্য ডিভাইস এবং অন্যান্য রাজস্ব বেড়েছে ৩.৫%(আগের বছরের তুলনায়)। ডাটা রাজস্বের ৬৬% ও মূল্য সংযোজিত সেবার রাজস্ব ৩১% বাড়ায় এই প্রবৃদ্ধি এসেছে। চতুর্থ প্রান্তিকে নতুন গ্রাহক ও ট্রাফিক রাজস্ব ২০১৪ সালে তুলনায় ৫.২% বৃদ্ধি পায়।

গত বছর গ্রামীণফোনে নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে ৫২ লক্ষ যার ফলে বছর শেষে গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ কোটি ৬৭ লক্ষতে। এই ১০% গ্রাহক প্রবৃদ্ধির ফলে সিম মার্কেট শেয়ার দাড়িয়েছে ৪২.৪% এ। ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা ৪৫% বেড়ে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ হয়েছে এবং ডাটা ব্যবহারের পরিমান গতবছরের তুলনায় প্রায় তিন গুন বেড়েছে।

&nbspগ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি বলেন,"বছরের শুরুটা কঠিন হলেও গ্রামীণফোন ব্যবসায়িক সাফল্য অব্যহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। ডাটা ছিল প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি অন্যদিকে ভয়েস প্রতিযোগিতামূলক অফারের কারণে চাপে ছিল। " তিনি আরো বলেন, "ভবিষ্যতে গ্রাহকের জীবনে ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে অবস্থান নিয়ে প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যসংযোজনের লক্ষ্য আমরা স্থির করেছি।"

আয়কর প্রদানের পর ২০১৫ এ মুনাফা হয়েছে ১৯৭০ কোটি টাকা যা ২০১৪তে ছিল ১৯৮০ কোটি টাকা। দক্ষ পরিচলন ব্যয়ের কারণে এবছর EBITDA হয়েছে ৫৩.৪% মার্জিন সহ ৫৬০০ কোটি টাকা। এবছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৪.৫৯ টাকা।

 গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন,"২০১৫ সালে দুর্বল টপ লাইন পারফরম্যান্স স্বত্বেও আমরা লাভজনক প্রবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ২% রাজস্ব বৃদ্ধির তুলনায় EBITDA (অন্যান্য আইটেমের পূর্বে) বেড়েছে ২.৮%। উচ্চতর অবচয় ও অ্যার্মোটাইজেশন এবং সিম পরিবর্তন বিরোধ সংক্রান্ত এককালীন আপিল ব্যয় স্বত্বেও আমাদের আয় স্থিতিশীল ছিল।"

গ্রামীণফোন ২০১৫ এ তার ৩জি নেটওয়ার্ক স্থাপন, ২জি নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন এবং আইটি অবকাঠামোর দক্ষতা বৃদ্ধিতে ১৯৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এদিকে দেশের বৃহত্তম কর দাতা গ্রামীণফোন ২০১৫ সালে সরকারী কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে ৫১১০ কোটি টাকা দিয়েছে যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৪৮.৮ শতাংশ।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ এ অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামীণফোন লিঃ এর পরিচালক মন্ডলী ২০১৫ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ (প্রতিটি ১০ টাকার শেয়ারের জন্য ৬ টাকা) চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে ২০১৫ সালের জন্য মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমান দাড়ালো পরিশোধিত মূলধনের ১৪০ শতাংশ যা ২০১৫ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ৯৬% (এর মধ্যে রয়েছে ৮০ শতাংশ অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ) রেকর্ড তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তে যারা শেয়ারহোল্ডার থাকবেন তারা এই লভ্যাংশ পাবেন যা ১৯ এপ্রিল ২০১৬ এ অনুষ্ঠতব্য ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভার দিন শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের উপর নিভরশীল।

grameenphone