গ্রামীণফোনের ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

এপ্রিল ২১ 2015

আজ বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে গ্রামীণফোনের ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গ্রামীণফোন বোর্ডের চেয়ারম্যান সিগভে ব্রেক্কে এবং সিইও রাজিব শেঠি, অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সেক্রেটারি হোসেন সাদাত।

চেয়ারম্যান তার ভাষণে কোম্পানির উপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের সম্ভাবনা, নিয়ন্ত্রণগত অনিশ্চয়তা, সবার কাছে ইন্টারনেট পৌছে দিতে গ্রামীণফোনের লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সিইও কোম্পানির পরিচালনাগত ও আর্থিক সাফল্যের কথা এবং সফলভাবে ৩জি চালু করার কথা উল্লেখ করেন।

সভায় প্রস্তাবিত স্পেকট্রাম নিলামের সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, "আমরা এখনো আশা করছি যে সমাগত ১৮০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম নিলাম প্রযুক্তি নিরপেক্ষ হবে এবং নিলাম নীতিমালা যে শর্তটি গ্রামীণফোনের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে তা বাতিল করে গ্রামীণফোনকে নিলামে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।তবে আমাদের বিনিয়োগকারী গণ সিম রিপ্লেসমেন্ট করের দাবি, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা, জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতি নবায়ন ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সমাধান না হলে নিলামে অংশ না নেয়ার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বলবৎ আছে।

গ্রামীণফোন ২০১৪ সালে ৯৫ শতাংশ নগদ অন্তবর্তী লভ্যাংশ প্রদান করে। গ্রামীণফোনের বোর্ড আরো ৬৫ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেন ফলে মোট লভ্যাংশের পরিমান দাড়ায় পরিশোধিত মূলধনের ১৬০ শতাংশ (শেয়ার প্রতি ১৬ টাকা)। শেয়ারহোল্ডারগণ ২০১৪ সালের জন্য সুপাশিরকৃত লভ্যাংশ অনুমোদন করেন। পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতো এবছরও গ্রামীণফোন দ্রুততার সাথে অনলাইনে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করবে।

এজিএম এর অন্যান্য কর্মকান্ডের মধ্যে ছিল ডিরেক্টরস রিপোর্ট ও ২০১৪ এর নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ, ডিরেক্টর নির্বাচন/পুনঃনির্বাচন এবং অডিটর নিয়োগ।

গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হবার পর এটি ছিল ৬ষ্ঠ এজিএম।

grameenphone