২২তম এজিএম ও ইজিএম: ২৮০% লভ্যাংশ ঘোষণা গ্রামীণফোনের

এপ্রিল ২৪ ২০১৯

২২তম এজিএম ও ইজিএম

২৮০% লভ্যাংশ ঘোষণা গ্রামীণফোনের

[ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯] আজ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। 

গ্রামীণফোনের শেয়ারহোল্ডাররা এজিএমে ২০১৮ সালের জন্য  ১৫৫ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ (ক্যাশ) এবং ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশের (ক্যাশ) অনুমোদন দিয়েছে । ২০১৮ সালে সর্বমোট লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে পরিশোধিত মূলধনের (শেয়ার প্রতি মূল্য ২৮ টাকা) ২৮০ শতাংশ। বরাবরের মতো গ্রামীণফোন ফাস্ট-ট্র্যাক অনলাইন পদ্ধতিতে লভ্যাংশ বন্টনের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।   

গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান পিটার বি. ফারবার্গ এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলিসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। এবারের বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানী সেক্রেটারী এস. এম. ইমদাদুল হক। 

বার্ষিক সাধারণ সভায় গ্রামীণফোনের প্রতি আস্থা রাখায় সকল সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা এবং এর ফলে ব্যবসায় কেমন প্রভাব পড়তে পারে সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান। অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা ও আর্থিক কর্মক্ষমতার পাশাপাশি ফোরজি সফলতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী।  

সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান উল্লেখ করেন, "প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত যেকোনো নীতিমালা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা আইন এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী হওয়া উচিৎ বলে মনে করে গ্রামীণফোন। এতে করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি গতিশীল হবে। এসএমপি নীতিমালা এমন হওয়া উচিৎ না যার কারণে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের সুযোগ কমে যায়।"

সাম্প্রতিক সময়ে  অডিটের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে ১২,৫৮০ কোটি  টাকা সরকারের পাওনা বিষয়ে  গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান আরও বলেন, ‘এ ধরনের দাবি আইনগতভাবে ভিত্তিহীন হিসেবে গণ্য করছে গ্রামীণফোন। সম্মানিত অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো ধরনের অগ্রহণযোগ্য দাবির বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। উল্লেখিত দাবি প্রত্যাহার করে এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে বিটিআরসির প্রতি আবেদন জানিয়েছি আমরা।’    

 

পরিচালকবৃন্দের প্রতিবেদন, নিরীক্ষকের প্রতিবেদন, কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণ ২০১৮’, পরিচালকবৃন্দের নির্বাচন এবং বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স কমপ্লাইয়েন্স নিরীক্ষক নিয়োগ এবারের বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

উল্লেখ্য, গত ২০০৯ সালে শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভূক্তির পর থেকে এবার দশম এজিএম অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণফোনের।

বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ করুন:

মো. হাসান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার-পিআর। ফোন: ০১৭১১০৮২৪৬৯

 

গ্রামীণফোন লি.

টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৭২ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।

www.grameenphone.com

www.facebook.com/grameenphone

grameenphone