শ্রমিক কল্যাণে ৩০ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন

জুলাই ২৬ 2020

[ঢাকা, ২৬ জুলাই ২০২০] দেশব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তাহবিলে ২৯,৭৮,৭৫,৯৪১ (ঊনত্রিশ কোটি আটাত্তর লক্ষ পঁচাত্তর হাজার নয়শত একচল্লিশ টাকা মাত্র) টাকা দিয়েছে গ্রামীণফোন। সম্প্রতি সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব কে. এম. আব্দুস সালাম এর হাতে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দ তানভীর হুসাইন এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এ তহবিল হস্তান্তর করেন ।

গ্রামীণফোন তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে নিয়মিতভাবে জমা প্রদান করে আসছে। এ তহবিলে সর্বোচ্চ জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত ১৫১ কোটি ৬০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৬০ টাকা জমা দিয়েছে। 

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন, “শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে এবছর প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় সোয়া ছয় কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের গতিশীল নেতৃত্বে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন সব সময় শ্রমিকদের কল্যাণে পাশে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন”।

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দ তানভীর হুসাইন বলেন, 'চলমান কোভিড-১৯ সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এ প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায়, বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। চলমান সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা কার্যক্রম হিসেবে উন্নয়ন অংশীদার, সরকারি সংস্থা ও খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে জনগণকে জরুরি যোগাযোগ পরিষেবা সরবরাহ, সম্মুখসারির চিকিৎসাকর্মীদের এবং বিপন্ন জনগোষ্ঠীকে সহায়তা ও তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য গ্রামীণফোনকে আমি সাধুবাদ জানাই। এ অভূতপূর্ব প্রতিকূল সময়ে, এ সহায়তা নিঃসন্দেহে দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তা করবে।'   

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বছর শেষে তাদের লাভের ৫ শতাংশের এক দশমাংশ এ তহবিলে জমা দেয় । এখন পর্যন্ত গ্রামীনফোন সহ ১৬৫ টি কোম্পানি তাদের লাভের নির্দিষ্ট একটি অংশ এ তহবিলে জমা দিয়েছে যা প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।   

তহবিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগ এর মাননীয় সভাপতি  জনাব ফজলুল হক মন্টু, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোল্লা জালাল উদ্দিন এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব ড: মোহাম্মদ রেজাউল হক, মহাপরিচালক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর জনাব শিবনাথ রায়, গ্রামীণফোন ডব্লিউপিপিএফ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব ইয়াসির মাহমুদ খান এবং গ্রামীণফোনের শিল্প সম্পর্ক বিভাগীয় প্রধান  জনাব কে. এম. সাব্বির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

 

যোগাযোগ, গ্রামীণফোন লি:

মুহাম্মদ হাসান

হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিক্যাশন্স

ফোন: ৮৮০১৭১১০৮২৪৬৯

ইমেইল: md.hasan@grameenphone.com

গ্রামীণফোন লি.

টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৭৬ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।

 

 

grameenphone