ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে একসাথে গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীরা ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন

জুলাই ২৮ 2020

[ঢাকা ২৮ জুলাই, ২০২০] করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারি মানুষের ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে; এ ভাইরাসটির কারণে মানুষ এবারের ঈদুল ফিতর সাদামাটাভাবে উদযাপন করেছে। সঙ্কটটি এখনো চলমান এবং এ অবস্থাই বর্তমানে ‘নিউ নরমাল’ পরিণত হয়েছে। এ সময় প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীরা ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীরা, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আসন্ন ঈদুল আজহায় ৩১ হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে ঈদের বিশেষ খাবার প্রদান করবে।  

এ বৈশ্বিক মহামারি নিম্ন-আয়ের জনগোষ্ঠীকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং এ পরিস্থিতি তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য ও পুষ্টি  প্রাপ্তির বিষয়টিও কঠিন করে তুলেছে। আসছে ঈদে গ্রামীণফোন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগ ‘গ্রামীণফোন ঈদের খুশি’ উদ্যোগের মাধ্যমে এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে বলে বিশ্বাস করে। ক্ষতিগ্রস্ত এ জনগোষ্ঠীর মুখে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোনের এমপ্লয়ীরা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশানের সহায়তায়  উৎসব ভাতা একটি অংশ  দিয়ে ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ঈদের বিশেষ খাবারের আয়োজন করবে।  

দুটি প্রতিষ্ঠান গত ২৮ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হুসাইন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান কিশোর দাস। এছাড়া গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক, হেড অব কমিউনিক্যাশন খায়রুল বাশার এবং লিড স্পেশালিষ্ট সাসটেইনএ্যাবিলিট হাফিজুর রহমান খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নিম্ন-আয়ের মানুষসহ লাখো মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে কোভিড-১৯। গ্রামীণফোনের এমপ্লয়ীরা মনে করেন এ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এ প্রতিকূল সময়ে অর্থপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন সম্ভব যদি আমরা  সবাই মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসে তাদের ধারাবাহিকভাবে সহায়তা করতে পারি। 

এ নিয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান কিশোর দাস বলেন, ‘আয় কমে যাওয়া, চাকরি হারানো, দোকান ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা এবং আয়ের পথ পুরোপুরি বন্ধ হওয়া সহ নানাভাবে কোভিড-১৯ দেশের অধিকাংশ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের জোগান পেতে অধিকাংশ দরিদ্র মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকার ধারাবাহিকভাবে তাদের নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামীণফোন। এ সঙ্কটকালীন সময়ে মানুষকে সহায়তা ও তাদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোনের সাথে এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

উদ্যোগের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ির ৩১ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে ঈদের বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হবে। খাবার সরবরাহের এ পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধানে থাকবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এ বিশেষ খাবার সরবরাহ প্রক্রিয়া শুরু হবে ঈদের দিন থেকে এবং যা চলতে পারে ০৩ আগস্ট পর্যন্ত।

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হুসাইন বলেন, 'ঈদের তাৎপর্য হলো ত্যাগের মহিমা নিয়ে সবার মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোন পরিবারের সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছে; বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দের। ঈদের সময়  বিশেষ খাবার সরবরাহের মাধ্যমে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আমাদের এ উদ্যোগে অংশীদার হওয়ার জন্য বিদ্যানন্দকে  আন্তরিক ধন্যবাদ।’

ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোনের এমপ্লয়ীরা বিদ্যানন্দকে ৪৬ লাখ ২০ হাজার ৮৫৬ টাকা  প্রদান করেছে। এছাড়াও কভিড-১৯ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাড়ানোর নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে মানবতার পাশে থাকবে গ্রামীণফোন।

যোগাযোগ, গ্রামীণফোন লি:

মুহাম্মদ হাসান

হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিক্যাশন্স

ফোন: ৮৮০১৭১১০৮২৪৬৯

ইমেইল: md.hasan@grameenphone.com

গ্রামীণফোন লি.

টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৭৬ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।

 

 

grameenphone