২০২০: অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে গ্রামীণফোনের মজবুত ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত

জানুয়ারী ২৮ 2021

[ঢাকা ২৮ জানুয়ারী ২০২১] ২০২০ সালে ১৩,৯৬১ কোটি রাজস্ব অর্জন করেছে গ্রামীণফোন। তবে আগের বছরের তুলনায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে ২.৮শতাংশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একই বছরে প্রতিষ্ঠানটি ২৬ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জনে সফল হয়েছে যা আগের বছরের তুলনায় ৩.৪% বেশি। ২০২০ সালের শেষে মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ কোটি ৯০ লাখ যার মধ্যে ৪ কোটি ১৩ লাখ বা ৫২.২% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, "২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আমরা ১৪,০০০ এর অধিক নেটওয়ার্ক সাইটকে ফোরজিতে রুপান্তর করতে সফল হয়েছি একই সাথে গ্রাহক পর্যায়ে ফোরজির ব্যবহারে ৬৫.৬%  বৃদ্ধি পেয়েছে, ১ কোটি ৯৮  লাখ নতুন গ্রাহক ফোরজিতে যোগ দিয়েছে -- ২০২১ সালে প্রবেশের মুহুর্তে এটি একটি বিশাল মাইলস্টোন।  চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থনৈতিক গতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ায় আমাদের কভিড-১৯ মহামারীর কঠিন চ্যালেঞ্জের বছরটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে প্রভাব ফেলেছে। তবে এ সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু রেগুলেটরি বিষয় সমাধান করতে পেরেছি। এ সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক ও ডিস্ট্রিবিউশন কার্যক্রম সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চতুর্থ প্রান্তিক থেকে আমাদের টাওয়ার.কো পার্টনারের সাথে কাজ শুরু করেছি।"

আজমান বলেন. "যেহেতু কভিড-১৯ এর অনিশ্চিয়তা এখনো বিদ্যমান, আমাদের প্রযুক্তি ও ডিজিটাল দক্ষতা দিয়ে এই মহামারি মোকাবিলায় গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সেবা নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা অর্থবহ আলোচনায় বিশ্বাস করি যা সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

"গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন,  "গ্রামীণফোন ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ৩.৭% রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্বেও চতুর্থ প্রান্তিকে কার্যকরী ব্যবসায়িক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা ১৪ লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। চতুর্থ প্রান্তিকে ২৯.৭% মার্জিন নিয়ে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১,০৩৩ কোটি টাকা। ২০২০ সালে আগের বছরের তুলনায় ইন্টারনেট থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ১৪% এবং ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ৬০.৬%।  " তিনি আরও বলেন, "আমরা আনন্দিত যে আমাদের পরিচালনা পর্ষদ আমাদের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৪.৫টাকা/প্রতি শেয়ার চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।"

২৭ জানুয়ারী ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ  ২০২০ সালের জন্য শেয়ার প্রতি মোট ২৭.৫টাকা লভ্যাংশ সুপারিশ করেন। এর ফলে মোট লভ্যাংশ দাড়িয়েছে পরিশোধিত মূলধনের ২৭৫% যেটি ২০২০ সালের মোট কর পরবর্তী মুনাফার ৯৯.৮৬% (১৩০% অর্ন্তবতী নগদ লভ্যাংশসহ)। রেকর্ড তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ যারা শেয়ারহোল্ডার থাকবেন তারা এই লভ্যাংশ পাবেন যা ১৯ এপ্রিল ২০২১ এ অনুষ্ঠতব্য ২৪তম  বার্ষিক সাধারণ সভার দিন শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল।

চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩৯৫ কোটি টাকা ( লাইসেন্স ও লিজ ফি বাদে) নেটওয়ার্ক কাভারেজ উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। গ্রামীফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬,৫৪৭। প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফিস, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ফি বাবদ ৯,৮২২ কোটি টাকা সরকারী কোষগারে জমা দিয়েছে।

বিস্তারিত আর্থিক প্রতিবেদন পাওয়া যাবে : https://www.grameenphone.com/about/investor-relations/ir-financial-report

মুহাম্মদ হাসান,
হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিক্যাশন্স
ফোন: ৮৮০১৭১১০৮২৪৬৯
ইমেইল: md.hasan@grameenphone.com

 

গ্রামীণফোন লি.

টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৭৬ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।

 

grameenphone