ইন্টারনেটের সকল সুবিধা প্রাপ্তিতে অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা বিধানের আহবান

Nov 12 2017

আজ স্যার জন উইলসন স্কুলে আয়োজিত গ্রামীণফোনের ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটি ’ সচেতনতামূলক কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বক্তারা  ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহারের জন্য অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ইপর জোর দিয়েছেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্র্যাকের সহায়তায় এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ কর্মসূচি শুরু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা এ প্রতিষ্ঠানটি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের আড়াইশ’র বেশি স্কুলের ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে সচেতন করেছে গ্রামীণফোন।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি এবং স্যার জন উইলসন স্কুলের অধ্যক্ষ সাবরিনা শাহেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন এবং হেড অব সাসটেইনেবিলিটি রাসনা হাসান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘বিশ্বের ডিজিটাল বিপ্লবের সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকা এবং তরুণদের আত্মবিশ্বাসের সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ইন্টারনেটে নিরাপদে থাকার দক্ষতা সম্পর্কে জানাতে এবং কিভাবে দায়িত্বশীলতার সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় এটা জানাতে আমরা দেশজুড়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সাবরিনা শাহেদ বলেন,"একটি স্কুল হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেয়া এবং পথ নির্দেশনা দেয়া আমাদের দায়িত্ব এং শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব হতে পারে। আমরা বিগত কিছুদিন ধরে ইন্টারনেটে নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলছি। আজকে যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে তা আমাদের এখানে এবারই প্রথম। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিপদ সম্পর্কে আরো সচেতন থেকে এবং দক্ষতার সাথে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে সেই উদ্যোগ নেয়ার জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ।"

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে  টেলিনর এর পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে তাদের অর্ধেকই অনলাইনে থাকার সময় সাইবারবুলিং বা অনিরাপদ পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। কিন্তু সামান্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং সাধারণ জ্ঞানের ব্যবহারে এগুলো এড়ানো সম্ভব।

তাই আমাদের তরুণদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ ইন্টারনেট কর্মসূচি প্রধানত সচেতনতা বৃদ্ধিতে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে কিভাবে ইন্টারনেটে নিরাপদে বিচরণ করতে হয়। এ বছরের কর্মসূচির আগে গ্রামীণফোন নিরাপদ ইন্টারনেট কর্মসূচি নিয়ে দেশের ৫শ’টি বিদ্যালয়ের ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে এবং বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রচারণার আয়োজন করার মাধ্যমে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ইন্টারনেট ব্যবহারের গাইডবই বিতরণ করেছে।

grameenphone