একনজরে গ্রামীণফোনের ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাস
- রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং তীব্র প্রতিযোগিতার বিরূপ প্রভাব
- রাজস্ব আয় ৫১৫০ কোটি টাকা, গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ০.৭%
- ১৬ লক্ষ নতুন গ্রাহক যোগ হওয়ায় মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ কোটি ৩১ লক্ষ
- ট্যাক্স প্রদানের পর নিট মুনাফা ২০.৪% মার্জিন সহ ১০৫০ কোটি টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় ৭.৭৬ টাকা
- ৩জি কাভারেজ এবং ধারণ ক্ষমতার উন্নয়নে বিনিয়োগ ১০১০ কোটি টাকা
গ্রামীণফোন লিঃ ২০১৫সালের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আয় করেছে ৫১৫০ কোটি টাকা, যা ২০১৪ এর একই সময়ের তুলনায় শতকরা ০.৭ ভাগ বেশি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রদত্ব সেবা থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব বেড়েছে ০.২ ভাগ এবং ডিভাইস খাতে রাজস্ব হ্রাস ২.৯% ও অন্যান্য খাত (প্রধানত অবকাঠামো শেয়ারিং ও মোবাইল আর্থিক সেবা)থেকে আয় বেড়েছে ১৩.৮ ভাগ। প্রধানত ডাটা ও মূল্য সংযোজিত সেবার আয় বৃদ্ধির কারণে সেবা থেকে অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০১৫ এর প্রথম অর্ধে গ্রামীণফোন ১৬ লক্ষ নতুন গ্রাহক সংগ্রহ করেছে যার ফলে মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ কোটি ৩১ লক্ষ। গ্ত বছরের তুলনায় এটি ৭.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং এতে সিম মার্কেট শেয়ার হয়েছে ৪১.৯%। ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ এবং সেই সাথে এর ব্যবহারের পরিমানও বেড়েছে উৎসাহব্যঞ্জকভাবে।
গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি বলেন, "তীব্র প্রতিযোগিতা এবং ২০১৫ এর প্রথম প্রান্তিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে আমরা গতবছরের তুলনায় সামান্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। তবে আমরা প্রথম প্রান্তিকের শেষদিক থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি দেখছি যা সম্ভব হয়েছে নেটওয়ার্কের শ্রেষ্ঠত্ব ও পণ্যের ব্যবহার্যতার বিষয়ে আমাদের সরলীকরণ উদ্যোগের কারণে।" তিনি আরো বলেন,"আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, গ্রামীণফোনের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস পরিশোধিত মূলধনের ৮০ শতাংশ অন্তবর্তী লভ্যাংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এটি শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ।"
আয়কর প্রদানের পর ২০১৪ এর প্রথমার্ধের শতকরা ২০.৪ ভাগ মার্জিন সহ ১০৬০ কোটি টাকা মুনাফার তুলনায় ২০১৫ এর একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে শতকরা ২০.৪ ভাগ মার্জিন সহ ১০৫০ কোটি টাকা। নিয়ন্ত্রিত পরিচলণ ব্যয়ের ফলে EBITDA প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.১% অথচ রাজস্বের প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে ০.৭%। EBITDA মার্জিন ০.২শতাংশ বেড়ে ৫৪ শতাংশ হয়েছে। উচ্চতর অবচয় এবং অ্যামরটাইজেশন এর কারণে গত বছরের তুলনায় ০.৯% হ্রাস পেয়ে শেয়ার প্রতি আয় দাড়িয়েছে ৭.৭৬ টাকায়। তবে নিম্ন অর্থায়ন ব্যয়ের কারণে তা আরো কমেনি।
গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন, "বছরের প্রথম অর্ধে আমরা দুর্বল ফলাফলের মধ্যেও লাভজনক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি। তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি তা আগামী দিনগুলোতে ব্যবসায় আরো প্রবৃদ্ধি এনে দেবে বলে আমরা আশাবাদী।"
এ বছরের প্রথমার্ধে ৩জি বিস্তার, ২জি বিস্তার ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণফোন ১০১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এদিকে দেশের বৃহত্তম করদাতা গ্রামীণফোন একই সময়ে কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং লাইসেন্স ফি আকারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২৫০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মোট রাজস্ব আয়ের ৪৮.৬ শতাংশ।
গ্রামীণফোন লিঃ এর বোর্ড অফ ডিরেক্টরস ২০১৫ এর ৩০ জুন এ সমাপ্ত অর্ধবছরের অন্তবর্তী নিট মুনাফা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত সংরক্ষিত আয়ের উপর ভিত্তি করে পরিশোধিত মূলধন এর শতকরা ৮০ ভাগ (প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ার এর বিপরীতে ৮ টাকা) অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই লভ্যাংশ ২০১৫ এর ৩০ জুন এ সমাপ্ত অর্ধবছরের কর পরবর্তী নিট মুনাফার শতকরা ১০৩ ভাগ। এই লভ্যাংশ রেকর্ড ডেট ২৯ জুলাই ২০১৫ এ যারা শেয়ারহোল্ডার থাকবেন তাদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বেধে দেয়া সময়ানুযায়ী বিতরণ করা হবে।