কৃষকদের সুবিধার্থে জিপি কৃষিসেবা উদ্বোধন করলো গ্রামীণফোন

ডিসেম্বর ০৭ 2015

কৃষকদের জন্য কৃষিভিত্তিক সেবা জিপি কৃষিসেবা ২৭৬৭৬ উদ্বোধন করেছে গ্রামীণফোন। কাস্টমাইজ ভয়েজ কনসালট্যান্সি বা মুঠোফোনে পরামর্শ সেবা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের এ সেবা দিবে দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে কৃষকরা কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন।

আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অভিনব এ জিপি কৃষিসেবার উদ্বোধন করে গ্রামীণফোন। বাংলাদেশের কৃষকদের তথ্যগত সহায়তা প্রদান করাই গ্রামীণফোনের এ সেবার লক্ষ্য। এ সেবা ব্যবহার করে কৃষক শস্য উৎপাদন, শাক-সবজি ও মৎস্য চাষ, গবাদি পশু পালন এবং পুষ্টিসহ প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে তথ্য পাবে।

জিপি কৃষিসেবায় কৃষক যে শস্য/মাছ/গবাদিপশু উৎপাদন করতে চান সে বিষয়ে তিনি যে অঞ্চলে অবস্থান করছেন সেই অঞ্চলের সাথে মিল রেখে তথ্য দেয়া হবে। এই সেবা পেতে কৃষককে তার এলাকা এবং পছন্দের শস্য/মাছ/গবাদি পশুর নাম দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ তিনটি টাইপ বেছে নিতে পারবেন।

সাধারণতঃ শস্য বর্ষপঞ্জি এবং ঋতুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য দেয়া হবে। তাই যদি খুলনা অঞ্চলের কোন কৃষক যদি তার এলাকার আবহাওয়া অনুযায়ী তেরাপিয়া মাছ চাষের তথ্য জানতে চান তাহলে জিপি কৃষিসেবা শস্য বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী তথ্য দেবে। এই তথ্য হবে আইভিআর এবং ভয়েস ম্যাসেজ ভিত্তিক যা তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাবেন। এ সেবা পেতে প্রতি সপ্তাহে খরচ হবে পাঁচ টাকা। এছাড়াও,গ্রাহকরা এগ্রো কল সেন্টারে ফোন করে কৃষি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলতে পারবেন প্রতি মিনিট ৩ টাকা করে। এই সেবার জন্য নিবন্ধিত গ্রাহকরা যে কোনো অপারেটরে ১ পয়সা সেকেন্ডে কল করতে পারবেন।

এখানেই শেষ নয়, এ সেবার জন্য নিবন্ধনকৃত যেকোনো কৃষক লাল তীর বীজের প্যাকেট কিনে বিনামূল্য ইউএসএসডি মেনুর মাধ্যমে বীজের প্যাকেটটি আসল কিনা কিংবা ক্রয়কৃত বীজের প্যাকেটে কোনো ভেজাল আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে পারবেন।

কৃষিসেবার উদ্বোধনকালে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোন সবসময় অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ ও সেবাদানের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলতে চেষ্টা করে। সব ধরনের মানুষের জন্য আমরা আমাদের সেবাকে ক্রমাগত বিভিন্ন আঙ্গিকে বিস্তৃত করছি। ‘জিপি কৃষিসেবা’ আমাদের অভিনব সেবাগুলোরই সর্বশেষ সংস্করণ। আমি বিশ্বাস করি, এটা কৃষকদের জীবনে নতুন সুবিধাদানের মাধ্যমে তাদের জীবনকে সহজ করে তুলবে। কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে আমাদের কৃষিখাতের উৎপাদন বাড়াতে সহজলভ্য সব প্রযুক্তির ব্যবহার করা উচিৎ।

এ প্রকল্পের লক্ষ্য সম্পূর্ণ কৃষি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধিতে কৃষি বিশেষজ্ঞ, কৃষি সম্প্রসারণের সংগঠন ও কৃষিপণ্য বিক্রেতাদের একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।‘জিপি কৃষিসেবা’র প্রাথমিক পর্যায়টি উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সেবার নতুন সংস্করণে প্রয়োজনীয় আরও তথ্য যোগ করা হয়েছে। কৃষিসেবার পরীক্ষামূলক পর্যায়েই প্রায় ১২ হাজার কৃষক সেবা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে।

বিশ্বজুড়ে মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান জিএসএমএ উন্নয়নশীল দেশগুলোর থেকে দরপত্রের প্রস্তাবনা আহ্বান করে এবং বাংলাদেশে এটা জিতে নেয় গ্রামীণফোন। এছড়াও, তারা কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট এবং বিপণন ও বিতরণ ব্যবস্থা নিয়েও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে। জিপি কৃষিসেবায় কন্টেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে উইনমিয়াকি লিমিটেড। এছাড়াও, কৃষি বিষয়ক অন্যান্য সংস্থা ও অংশীদারেরা এ প্রকল্পে কাজ করছে। প্রযুক্তির ব্যবহার ও তথ্যগত সেবাদানের মাধ্যমে কৃষিনির্ভর ১৫ কোটি মানুষের প্রয়োজন মেটাতে গ্রামীণফোনের ক্রমাগত প্রচেষ্টারই একটি অংশ এ প্রকল্প।

grameenphone