১০,০০০ ৩জি বিটিএস এর মাইলফলক ছুয়েছে গ্রামীণফোন

জুন ২৬ 2016

গ্রামীণফোন আজ বহুল প্রতিক্ষিত ১০,০০০ ৩জি বিটিএস স্থাপনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দেশ জুড়ে ১০,০০০ টি স্থানে অবস্থিত এই বিটিএসগুলো দেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠিকে ৩জির আওতায় নিয়ে এসেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম, এমপি স্থানীয় একটি হোটেল এ উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ১০,০০০ তম বিটিএসটি চালু করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিটিআরসি এর চেয়ারম্যান ডঃ শাহজাহান মাহমুদ এ সময় গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠির সাথে উপস্থিত ছিলেন। 

এবছরের জানুয়ারী মাসে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি, টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিগভে ব্রেক্কের উপস্থিতিতে জুনের মধ্যে ১০ হাজার ৩জি বিটিএস স্থাপনের ঘোষণা দেন।

এই অঞ্চলে জনসংখ্যার বিচারে এটি অন্যতম দ্রুত এবং বৃহৎ ৩জি নেটওয়ার্ক বিস্তার। এরফলে শুধু দেশের প্রায় সব মানুষ ৩জির আওতায় আসেব না, সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো পক্ষে আরো বেশি মানুষের কাছে কার্যকরভাবে ডিজিটাল সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী এই সাফল্যের জন্য গ্রামীণফোনকে অভিননদন জানিয়ে বলেন যে এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন আরো একধাপ এগিয়ে গেল।

এই উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গ্রামীণফোন সিউও বলেন,"পাঁচ মাস আগে আমরা অতি দ্রুতগতিতে ৩জি নেটওয়ার্ক বিস্তারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। আমাদের বিনিয়োগ আর আমাদের সাফল্য আজ শুধু গ্রামীণফোনের নয়। এই ১০ হাজার বিটিএস এখন একটি জাতীয় সাফল্য এবং আমরা বাংলাদেশের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।"

বিটিআরসি চেয়ারম্যান গ্রামীণফোনকে ৩জি বিস্তারের সময় যে উদ্দীপনার সাথে তার কাজ করেছে এর মান বজায় রাখতেও একই উদ্দীপনা প্রদর্শনের আহব্বান জানান।

গ্রামীণফোনের সিটিও মেদহাত এলহোসাইনী ১০ হাজার বিটিএসকে ৩জিতে রুপান্তরিত করার অভিযাত্রা একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। এই বিশাল কাজটি সম্পন্ন করতে ১৪,১৪,৮৭৭ মানব ঘন্টা শ্রম দিতে হয়েছে, তারা ভ্রমণ করেছে ১,৩১১,০৪০ কিলোমিটার এবং তাদের চড়তে হয়েছে ৬৮০,০০০ মিটার যা ৮০টি এভারেস্ট শৃঙ্গের সমান।

উদ্বোধনের পর ১০,০০০ তম বিটিএসে কর্মরত গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও।

গ্রামীণফোন দ্রুত দেশজুড়ে থ্রিজি বিস্তারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাত্র ৬ মাসে দেশের ৬৪ জেলা শহরকে থ্রিজি সেবার আওতায় নিয়ে আসে, যা লাইসেন্স চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৩৬ মাসে হবার কথা ছিল। নতুন এলাকায় থ্রিজি সেবাদান কিংবা ২জি সাইট থ্রিজিতে রূপান্তরের মধ্যেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বিস্তৃত ছিলো না, বিদ্যমান ২জি সাইট উন্নতিকরণ ও সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে ২জি সেবা বিস্তৃতিতেও কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।   

grameenphone