এক নজরে ২০১৭ এ গ্রামীণফোনের ৩য় প্রান্তিক
|
গ্রামীণফোন ৬ কোটি ৩৯ লক্ষ গ্রাহক নিয়ে ২০১৭ এর ৩য় প্রান্তিক শেষ করেছে যা আগের প্রান্তিুকের তুলনায় ৩.৭% বেশি। ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি হওয়ায় মোট গ্রাহকের ৪৬.৯% গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে।
গ্রামীণফোন আরো জানিয়েছে যে ২০১৭ এর তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আয় করেছে ৩৩২০ কোটি টাকা যা ২য় প্রান্তিকের তুলনায় ২.৪% বেশি।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, "ভারি বৃষ্টিপাত আর ভয়াবহ বন্যার কারণে এই প্রান্তিক বেশ কঠিন ছিল। গ্রাহক সংগ্রহসহ বিভিন্ন দিকে টেলিকম শিল্প অব্যাহতভাবে খুবই প্রতিযোগিতামূলক ছিল। তা স্বত্ত্বেও আমরা ডাটা ও ভয়েস খাতে প্রবৃদ্ধি করতে পেরেছি।" তিনি আরো বলেন, "এই প্রান্তিকে খুচরা পর্যায়ে সাফল্য ও প্রতিযোগিতামূলক অফারের কারণে প্রায় ৩০ লক্ষ ডাটা গ্রাহক যুক্ত হয়"
আয়কর প্রদানের পর ২০১৭ এর ৩য় প্রান্তিকে ৭০০ কোটি টাকা মুনাফা হয়। উচ্চতর রাজস্ব আয় এবং পরিচলন ব্যয় ব্যবস্থাপনার কারণে এই প্রান্তিকে EBITDA (অন্যান্য আইটেমের আগে) হয়েছে ১৯৫০ কোটি টাকা। । এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫.১৬ টাকা।
গ্রামীণফোনের নব নিযুক্ত সিএফও কার্ল এরিক বলেন,"গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকেও তার প্রবৃদ্ধির ধারা এবং মুনাফা অব্যাহত রেখেছে।" তিনি আরো বলেন, "আমাদের রাজস্ব প্রদানকারী গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি, ভয়েস খাতে মূল্য স্থিতিশীলতা এবং চলমান পরিচলন দক্ষতা কর্মসূচী শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূল্য সংযোজনে ভূমিকা রেখেছে। "
গ্রামীণফোন বছরের ৩য় প্রান্তিকে উচ্চ ভয়েস ও ডাটা চাহিদা পূরণে ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই সময়ে ১৫৪টি ২জি এবং ২৮৪টি ৩জি বেস স্টেশন স্থাপন করা হয় যার ফলে মোট ২জি স্থাপনার সংখ্যা ১২,৫১৭ এবং ৩জি স্থাপনার সংখ্যা ১১,৮৪১ এ দাড়িয়েছে।এই প্রান্তিকে গ্রামীণফোন কর, ভ্যাট,শুল্ক এবং লাইসেন্স ফি হিসেবে সরকারী কোষাগারে ১৮.৭ কোটি টাকা প্রদান করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব আয়ের ৫৬.৪%। এ বছরের মোট জমার পরিমান দাড়িয়েছে ৪৬৯০ কোটি টাকা।