গ্রামীণফোনের নিরাপদ ইন্টারনেট অভিভাবক গাইড বই উন্মোচন

সেপ্টেম্বর ১৭ 2015

নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে অভিভাবকদের জন্য গাইড বই উন্মোচন করলো গ্রামীণফোন। অভিভাবকরা কিভাবে শিশুদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখবে সে বিষয়ে যাবতীয় দিকনির্দেশনা দেয়া এই গাইড বইটি প্রকাশ করেছে টেলিনর।

আজ আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল ও কলেজে গাইডবুকটির উন্মোচন করা হয়। এ উন্মোচন অনুষ্ঠান বাবা-মা ও শিশুদের মধ্যে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার সচেতনতা তৈরিতে গ্রামীণফোনের নিয়মিত প্রচেষ্টারই অংশ। গ্রামীণফোন বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যারা নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিরাপদ ইন্টারনেটের ওপর একটি আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অগ্রণী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুজ্জামান ভূঁইয়া, ইউনিসেফ এর চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট জামিলা আখতার, ব্র্যাকের কমিউনিকেশনস লিড রনি মির্জা এবং গ্রামীণফোনের কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটির প্রধান দেবাশিষ রায়। গ্রামীণফোনের ডিজিএম পাবলিক রিলেশনস মোঃ হাসান আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন ।

সম্প্রতি এশিয়ার লাখ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করেছে। কিন্তু ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার এবং এতে খুঁজে পাওয়া যায় অনেক স্পর্শকাতর বিষয়ে শিশুদের সাথে কথা বলতে অভিভাবকদের বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। দায়িত্বশীল মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিনর এ গাইড বই প্রকাশ করেছে যাতে, বাবা-মায়েরা ইন্টারনেটের সঠিক কন্টেন্ট সম্পর্ক বাচ্চাদের নির্দেশনা দিতে পারে। তারা যাতে বাচ্চাদের আলোচনার মাধ্যমে আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে ইন্টারনেটের ভূমিকা সম্পর্কে বোঝাতে পারে। টেলিনর ও এর এশিয়ান ব্যবসায়িক অঙ্গসংগঠনগুলো বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেটের প্রচারণা চালাচ্ছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা ইন্টারনেট বিষয়ে বাব-মা ও শিশুদের করণীয় সম্পর্কে অর্থাৎ কি করবে বা কি করবে না এ সম্পর্কিত রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন। এসব রূপরেখার মাধ্যমে শিশুরা ইন্টারনেটের কোনো নেতিবাচক দিকে বিভ্রান্ত না হয়ে ইতিবাচকভাবে এর অফুরস্ত ব্যববহার করতে পারবে।

দেবাশিষ রায় বলেন, কার্যক্রম পরিচালনায় গ্রামীণফোন যে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল, এ গাইডবই এর উন্মোচনই তার প্রমাণ। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন। এটা আমাদের দায়িত্ব তাদের চারপাশে তাদের যে জ্ঞানার্জনের উৎস রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তাদের সম্পূর্ণভাবে অবহিত করা।

ইন্টারনেট সম্পর্কে স্বল্প ধারণা বিশিষ্ট জনগোষ্ঠির মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া হলে প্রযুক্তি বিষয়ে অনভিজ্ঞ বাবা-মা ও শিশুদের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। গাইডবইটি বাংলা ও ইংরেজি দু’ ভাষাতেই প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রামীণফোন টার্গেট গ্রুপের মধ্যে গাইডবুকটি বিতরণ করবে।

সবার জন্য ইন্টারনেট নিশ্চিত করা গ্রামীণফোনের অন্যতম প্রয়াস। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করছে। এ বিষয়ে গ্রামীণফোন, ব্র্যাকের সহায়তায় সারাদেশে ৫শ স্কুলে কর্মশালা আয়োজন করবে। এ বছরের শুরুতে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট সচেতনতা নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করে ও দৈনিক পত্রিকাতে বিজ্ঞাপণী প্রচারণা চালায় ।

grameenphone