চিন্তার বাস্তবায়ন ঘটলো স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনে

নভেম্বর ১২ 2016

টানা ৩৬ ঘণ্টা চলার পর নতুন সব উদ্ভাবন ও সম্ভাবনা নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে শেষ হলো দেশের প্রথম স্মার্ট সিটি হ্যাকাথন। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রেনিউর ল্যাব এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ইনোভেশন সেন্টার হোয়াইট বোর্ডের যৌথ উদ্যগে আয়োজিত হয় এ হ্যাকাথন। হ্যাকাথনে তরুণ উদ্ভাবকদের ৩০টি ঢাকার নানা সমস্যা সমাধান করে ঢাকাকে স্মার্ট সিটিটে পরিণত করতে দল কোডিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

৩৬ ঘণ্টাব্যাপী চিন্তা ও কোডিং করার পর তিনটি দল যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে ঘোষিত হয়। দ্বিতীয় রানার আপ হয় অ্যাপ ফ্লেকস, প্রথম রানার আপ হয় স্পার্কস এবং চ্যাম্পিয়ন হয় দূরবীন,

অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি’র ডিরেক্টর জন টেইলর। গ্রামীণফোনের চিফ টেকনোলজি অফিসার মেদহাত এল হোসাইনী এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার বিদ্যমান নানা সমস্যা সমাধানে হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারীরা নানা সমাধান নিয়ে আসে। প্রতিটি দল সফটওয়্যার কিংবা হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবনী চিন্তার উপস্থাপন করেন। দলগুলোর চিন্তার বাস্তবায়নে প্রতিটি দলেই একজন করে পরামর্শক ছিলন। মেধাবী তরুণদের খুঁজে বের করে তাদের সঠিক দিক নির্দেশনা ও সহায়তা দেয়া এবং দেশের উন্নয়নে তাদের চিন্তা এবং ধারণাকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যেই এ হ্যাকাথন আয়োজিত হয়।

এ উদ্যোগ সম্পর্কে প্রিনিউর ল্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ নেজামী বলেন, ‘আমরা অংশগ্রহণকারীদের প্রবল উৎসাহ ও তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা দেখে অভিভূত। প্রিনিউর ল্যাব এটা চালিয়ে যাবে এবং সরকার ও ভিসিদের সহায়তায় তরুণদের এসব উদ্ভাবন বিপণনে কাজ করবে।’ 

স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, দৈনিক ইত্তেফাক, রেডিও ফূর্তি, আইইইই বিডিএস, গুগল ডেভলপার গ্রুপ ঢাকা, ইউজারহাব, জাংশন (ডিনেট), মজিলা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লোকাল গাইডস অ্যান্ড উইমেন্স টেকমেকারস।

এই হ্যাকাথনে মোট ৩০টি দল অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিটি দলে সর্বোচ্চ ৪ জন ও সর্বনিম্ন ২ জন সদস্য অংশগ্রহণে দল গঠন করা হয়। দলগুলো ৩৬ ঘণ্টা সময়ব্যাপী তাদের উদ্ভাবনী ধারণাটিকে সফটওয়্যার অথবা হার্ডওয়্যারের আকারে উপস্থাপন করেন। এ উদ্যোগে আয়োজনে পেছনে লক্ষ্য ছিলো তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শহরের সব সম্পদের ব্যবহারের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে শহরের নাগরিকদের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানো। আর তরুণদের উদ্ভাবনী সব চিন্তার বাস্তবায়নে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে এ স্মার্ট সিটি হ্যাকাথন। 

grameenphone