টেলিনর ইয়ুথ সামিট ২০১৪ গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা

নভেম্বর ০৭ 2014

বিশ্বব্যাপী তরুনদের প্রতিযোগিতা ভিত্তিক আয়োজন ‘টেলিনর ইয়ুথ সামিট ২০১৪’ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। আজ রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর আশরাফুল হক সিফাত এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নওশীন মেহজাবিন চৌধুরী যথাক্রমে তাদের ডিজিটাল মাদুলি এবং ফার্স্ট লেডি ধারণার জন্য বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন।

মাননীয় শিক্ষা সচিব এন আই খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ এবং সিএইচআরও কাজী মোহাম্মদ শাহেদ উপস্থিত ছিলেন।

পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে শিশুদের রক্ষা করতে আশরাফুল হক সিফাত এনেছেন, ‘ডিজিটাল মাদুলি: কিপিং কিডস সেইফ নিয়ার ওয়াটার’। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম, সিমকার্ড সহ কম খরচের মনিটরিং সিস্টেম, সিগন্যাল এর মাধ্যমে তৈরি এ উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাবা মা অথবা উদ্ধারকর্মীরা ডুবে যাওয়া শিশুর অবস্থান নির্ণয় করতে পারবেন। এ ধারণার মাধ্যমে অবস্থাপন্ন বাবা মা কে নিজেদের জন্য কিনে গ্রামের অন্যান্যদের এ ডিভাইসটি পৌছে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

নওশীন মেহজাবিন চৌধুরীর অ্যাপটির নাম ‘ফার্স্ট লেডি: এনসিওরিং আ সেফ সোসাইটি ফর উইমেন’। অ্যাপটি নারীর বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে সহিংসতা প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করবে। এ সেবার মাধ্যমে নারীরা রেজিস্ট্রেশন করে নিজেদের বিষয়ে তথ্য প্রদান করবেন এবং প্রতি মাসে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বার্তা বলবেন। এছাড়া সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে হেলপ লাইন ব্যবহারের উল্লেখ আছে। এছাড়া এ অ্যাপের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সিগন্যাল পাঠানো যাবে।

২০১৪ সালের আগস্ট মাস থেকে তিন স্তরের এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীরা দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। দ্বিতীয় পর্ব শেষে চার ফাইনালিস্ট নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীরা নরওয়ের অসলোতে আয়োজিত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্লাটফরমে নিজেদের উদ্ভাবন তুলে ধরবেন। বিজয়ীরা নোবেল পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

এ বছরের চার ফাইনালিস্ট ছিলেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নওশীন মেহজাবিন চৌধুরী, বুয়েটের আশরাফুল হক সিফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পারাশার সাহা এবং আহমেদ ইসতেহাদ শৌমিক।

চুড়ান্ত পর্বের বিচারক ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ স্ট্র্যটেজি অফিসার এরল্যান্ড প্রেস্টগার্ড, রাসেল টি আহমেদ, সিইও চ্যাম্পস ২১ এবং মৃদুল চৌধুরি, সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা এমপাওয়ার, সোশাল এন্টারপ্রাইজেস।

গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষার্থী সাফা তাসনিম এবং সামি তাহসিন টেলিনর ইয়ুথ সামিটের জয়ী হন এবং অসলোতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব ইয়ুথ সামিটে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।

ডিজিটাল কমিউনিকেশনের সাহায্যে সমাজ পরিবর্তন এবং সুযোগ সৃষ্টির জন্য তরুনদের উৎসাহিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবন তুলে ধরেন। ডিজিটাল কমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের কাজটি, টেলিনর গ্রুপের লক্ষ্য ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ এরই একটি অংশ। ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ এর মাধ্যমে টেলিনরের লক্ষ্য জ্ঞান, তথ্য, শিক্ষাম স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থিক সেবা মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া।

টেলিনর ইয়ুথ সামিট, গ্রামীণফোনের বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার টেলিনর গ্রুপের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট, যা তরুনদের শিক্ষা এবং উন্নয়নে বিশেষভাবে কাজ করছে।

grameenphone