গ্রামীণফোনের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ অর্জন

১২ ডিসেম্বর ২০২১

দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম উন্নয়নে এবং তরুণদের দক্ষতা বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ‘প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে’ সম্মানজনক জাতীয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ অর্জন করে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টেক সার্ভিস লিডার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোনকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

দেশের প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে এবং একটি স্ব-টেকসই এবং জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতির আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের সম্ভাবনা উন্মোচন করার জন্য আমাদের ডিজিটালাইজেশনকে কাজে লাগাতে হবে এবং আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হবে। 2015 সালে ঘোষিত গ্রামীণফোন এক্সিলারেটর হল একটি সহযোগিতামূলক প্রোগ্রাম যা নতুন স্টার্টআপগুলিকে সফল করতে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক লভ্যাংশ তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ছয় মাসের প্রোগ্রামটি কর্মশালা, লক্ষ্য নির্ধারণ, ব্যবসায়িক বিল্ডিং সহায়তা, পরামর্শদাতা, বিনিয়োগকারীদের সংযোগ এবং আরও অনেক কিছুর মাধ্যমে স্টার্টআপগুলির সমাধানের পরিসরকে প্রসারিত করে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার আইসিটি বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে এবং প্রযুক্তির প্রচার ও প্রসারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে আসছে। এ চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সঠিক উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। বিজয়ী উদ্যোগগুলো আমাদের দেশকে ব্যবসাসহ অন্যান্য প্রধান খাতগুলোয় ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার’র এর সকল বিজয়ীদের আমি অভিনন্দন জানাই। সমাজের প্রতি আপনাদের অবদানগুলো আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।”

একটি উন্নত আগামী বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে তরুণদের আপস্কিলিং করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতিদানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান। তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রায় আমাদের অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এ পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। সমাজের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং জাতির ক্ষমতায়নে কথা পুনর্ব্যক্ত করে আমি বলতে চাই, গ্রামীণফোন তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করাতে বিশ্বাস করে। ফিউচার নেশন ও জিপি অ্যাকসেলেরেটরের মতো পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে তরুণদের আপস্কিল ও রিস্কিল করে ডেমোগ্রাফিক ডিভেডেন্ডের সম্ভাবনাকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ উন্মোচনে বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন। ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে সামনে এগিয়ে আসা এবং অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনের অংশ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এবং এ ধরনের স্বীকৃতি বাংলাদেশের ক্ষমতায়নে একসঙ্গে আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষতায় প্রস্তুত করে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রায় এগিয়ে যেতে আমাদের গভীরভাবে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করবে।”

ইউএনডিপি’র সাথে পার্টনারশিপ

১ নভেম্বর ২০২১

দেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তর এবং দেশ ও দেশের বাইরে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতের জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এজেন্ডাকে ত্বরাণ্বিত করার লক্ষ্যে গঠিত সরকারি, বেসরকারি এবং উন্নয়ন খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্মিলিত নতুন অ্যলায়েন্স ফিউচার নেশন।

কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে দেশের মানুষের জন্য সুষ্ঠু কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরির সম্মিলিত প্রচেষ্টা হিসেবে এই প্রোগ্রাম চালু করা হয়। এর লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের সকল মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করা। অর্থনৈতিক খাতে ভূমিকা পালনে শীর্ষস্থান অর্জনে প্রোগ্রামটি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। এই লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মশক্তির দক্ষতা বিকাশ ও এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচনে প্রোগ্রামটি শিল্প বিশেষজ্ঞদের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে একটি কার্যকরী ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে। তরুণ জনশক্তি এই প্রোগ্রাম থেকে যে দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন করবে তা দিয়ে স্থানীয় ও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে উচ্চ বেতনের চাকরি লাভ করবে এবং সামনের বছরগুলোতে আয়ের পথ উন্মোচন করবে এমনটিই প্রত্যাশা। দেশজুড়ে পরবর্তী প্রজন্মের উদ্যোক্তা গড়ে তোলার ব্যাপারেও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে এই প্রোগ্রাম।

উন্নয়ন খাত (ইউএনডিপি) এবং বেসরকারি খাত (গ্রামীণফোন)-এর মধ্যে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির পথ সুগম করতে সরকারি খাতের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করে ফিউচার নেশন। বাংলাদেশ স্বপ্ন ও সম্ভাবনায় পূর্ণ একটি দেশ এবং আগামী ২০ বছরে আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন নির্ভর করছে তরুণদের ওপর যারা ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন। আগামী দিনগুলোতে জাতির জন্য বৃহত্তর অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে সঠিক দক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার সাথে তরুণদের ক্ষমতায়ন করে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অর্জনে এ প্রজন্মের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করবে ফিউচার নেশন।

বেসরকারি খাত কেবল উন্নয়নের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং সংকট মোকাবিলা, সংকট পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণেও ভূমিকা পালন করে এমন উপলব্ধি ইউএনডিপি’কে এই অংশীদারিত্বে উৎসাহিত করে। ইউএনডিপি বেসরকারি খাতের প্ল্যাটফর্ম পোস্ট কোভিড-১৯ চালু করেছে, যা একাধিক খাত ও অংশীজনদের নিয়ে কাজ করবে। যাতে ব্যবসায়িক খাতের অংশীদাররা কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় আরও দ্রুত ও নানা পরিসরে এগিয়ে আসতে পারেন; পাশাপাশি উদ্ভাবন ও প্রস্তাবিত সংস্কার পদ্ধতির মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধারে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন।

ডিজিটাল স্পেসকে নিরাপদ রাখতে ভূমিকা পালনের জন্য গ্রামীণফোনের স্বীকৃতি লাভ

২৯ অক্টোবর ২০২১

২০১৪ সাল থেকে গ্রামীণফোন অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে এবং বিগত বছরগুলোতে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বীকৃতি অর্জন করেছে। অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রচেষ্টা ও অবদানের জন্য সিএসআর অ্যাওয়ার্ড কর্তৃক মনোনয়ন লাভ আমাদের অর্জনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সারা দেশের শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে এবং ডিজিটাল স্পেস সম্পর্কে তাদের আরও সাবধান ও সচেতন করে তুলতে ‘চাইল্ড অনলাইন সেইফটি’ বা শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও, এই উদ্যোগ শিশুদের বিকাশ ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে এমন একটি ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলতে মা-বাবা ও অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আজকের শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা হবে এবং এই প্রকল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে অনুপ্রাণিত করে এমন স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

দ্য ডেইলি স্টার ও সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ যৌথভাবে সিএসআর অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে থাকে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, কর্পোরেট, বেসরকারি বা সামাজিক সংস্থাকে সমাজের উপকারে আসে এমন আইডিয়া বাস্তবায়নে উৎসাহিত করে এবং অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম এমন ইতিবাচক উদ্যোগ বা প্রকল্পগুলোকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও এজেন্সির ব্যতিক্রমী কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা উদ্যোগগুলোকে এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

চাইল্ড অনলাইন সেইফটি উদ্যোগ এখন পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি স্কুল শিক্ষার্থী এবং প্রান্তিক কিশোরীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে, প্রশিক্ষণ ও সহজ কনটেন্ট বা রিসোর্সের মাধ্যমে ২ লাখ বাবা-মা ও শিক্ষককে এ সংশ্লিষ্ট জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করেছে এবং নির্ধারিত নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ ও ব্যবহারকারীদের মাঝে একাধিক সংলাপ ও আলোচনার আয়োজন করেছে। এছাড়াও, এই উদ্যোগ ক্যাম্পেইন ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দেশজুড়ে সচেতনতা তৈরি করেছে।

ডিপ সি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রামীণ জেলে সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন

গ্রামীণফোন বঙ্গোপসাগরে এর ডিপ সি নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারিত করেছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির ফলে জেলে এবং সমুদ্রপথের যাত্রীরা এখন গভীর সমুদ্রে থাকলেও জিপির মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এ নিয়ে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, ভোলার চর কুকরিমুকরি ও পটুয়াখালীর চর মন্তাজকে কেন্দ্র করে স্থাপিত গ্রামীণফোনের এই নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির সুবিধা পাওয়া যাবে দেশের উপকূলরেখা থেকে গভীর সমুদ্রে ৩৮ কিলোমিটার পর্যন্ত।

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গভীর সমুদ্রে পাঁচশো’রও বেশি নৌপরিবহণ মূল ভূখণ্ডের সাথে কানেক্টেড থাকতে গ্রামীণফোনের সেবা ব্যবহার করে। এমন উন্নয়ন

প্রতি বছরই উপকূলীয় এলাকা ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো এবং জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়, যার ফলে প্রাণহানির পাশাপাশি অর্থনীতিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতি বছর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গড়ে ৪,৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও জলদস্যুদের কারণে জেলে ও সমুদ্রপথের যাত্রীদের জীবিকা ব্যাহত হয়ে থাকে।

জেলে পেশাজীবী ও সমুদ্রপথের যাত্রীদের সহায়তা প্রদানের জন্য এই নেটওয়ার্কের উন্নয়ন সাধন করা হয় এবং এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও তাদের পরিবারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ সক্ষম করার মধ্য দিয়ে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে।

সাহসিকতা আর কল সেন্টারে একটি ফোনকল বদলে দিয়েছে তার জীবন

চৌদ্দ বছর বয়সী সদা হাস্যোজ্জ্বল তাহমিনার (ছদ্মনাম) আর দশজন কিশোরীর মতোই স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু যখন সে একটি ছেলের প্রেমে পড়লো এবং ছেলেটির ক্রমাগত অনুরোধে তার সাথে কয়েকটি অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করলো, তার সেই স্বপ্ন নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো। ছেলেটি এরপর তাকে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য অনবরত চাপ দিতে থাকলো এবং এটি তাহমিনার জীবন পুরোপুরি বদলে দিলো।

ভাগ্যক্রমে, শিশুদের সহায়তায় চালু করা হেল্পলাইন ১০৯৮ সম্পর্কে তাহমিনার জানা ছিলো এবং বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন সে এই হেল্পলাইনে কল করে। প্রথমে তার মনে বেশ অনিশ্চয়তা আর ভয় কাজ করলেও কয়েকবার কল করার পরে সে স্বস্তি ও আশ্বাস পায়, যা তাকে খোলাখুলিভাবে কথা বলার সাহস দেয়। সে কল সেন্টারের কাউন্সেলরের সাহায্য চায়। কল সেন্টার এজেন্ট তাকে আশ্বস্ত করে এবং তাকে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

তাহমিনার কাহিনী নতুন কিছু নয়। সে জানায় যে, লকডাউনের সময় তার ১৬ বছর বয়সী একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং কথা বলার এক পর্যায়ে সে একটি জনপ্রিয় ডিজিটাল যোগাযোগ অ্যাপের মাধ্যমে তার দু’টি ব্যক্তিগত ছবি ছেলেটির সাথে শেয়ার করে। সে যেহেতু ছেলেটিকে বিশ্বাস করতো এবং ছেলেটির সাথে তার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো, সে কখনোই ভাবেনি যে এতে কোনো প্রকার ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু ছবি শেয়ার করার পর পুরো চিত্র বদলে গেলো। ছেলেটির চাহিদা আরও বেড়ে যায় এবং সে সম্পর্কে আরও ঘনিষ্ঠতা চায়। তার এই চাহিদা পূরণে তাহমিনা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না এবং তাহমিনা এতে অস্বীকৃতি জানায়। এটি ছেলেটিকে আরও নাছোড়বান্দা করে তোলে এবং তার কথামতো না চললে সে তাহমিনার ছবি ডিজিটাল মাধ্যমে ভাইরাল করে দিবে এমন হুমকি দিতে শুরু করে। এই সময়ে তাহমিনার অনলাইন সেইফটি ব্যানারে দেখা হেল্পলাইন নম্বরের কথা মনে পড়ে। এই ব্যানারটি ছিলো গ্রামীণফোন ইউনিসেফের অনলাইন নিরাপত্তা প্রকল্পের কো-ব্র্যান্ডেড প্রচারণার অংশ।

বিস্তারিত শোনার পর সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর, সমাজকর্মী এবং ম্যানেজার ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তারা তাকে তার অসদাচরণের আইনি এবং সামাজিক পরিণতি সম্পর্কে অবহিত করে এবং তার কাউন্সেলিং করে। কয়েকটি সেশনের পর সে এ ব্যাপারে সচেতন হয় এবং তার আচরণের জন্য লজ্জিত হয়। সে নিজের আচরণ পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতিও দেয়।

এরপর হেল্পলাইন থেকে তাহমিনার সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করা হয় এবং জানা যায় যে, ছেলেটি বেশ ভালো আচরণ করছে এবং এরপর তাকে আর বিরক্ত করেনি। তাহমিনা চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮ কে তাদের সার্বিক সহায়তার জন্য এবং অনলাইন অপব্যবহারের এই হয়রানি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ জানায়। তারপর তাকে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং সে ডিজিটাল স্পেসে সতর্ক এবং স্মার্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ সরকার ২৪ ঘণ্টা টোল-ফ্রি টেলিফোন সেবার মাধ্যমে শিশু সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডকে বেগবান করতে এবং শিশু ও তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদানে চাইল্ড হেল্পলাইন চালু করেছে। এসব কার্যক্রম সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কল সেন্টার এজেন্টের সংখ্যা বাড়াতে কাজ করে। কল সেন্টার এজেন্ট থেকে শুরু করে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতাদের প্রশিক্ষণ প্রদান কিংবা কেন্দ্রের মূল অপারেশন - ইউনিসেফের সাথে পার্টনারশিপে গ্রামীণফোন এই সেবার মানোন্নয়নে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করছে।

জলবায়ু পরিবর্তন

Grameenphone Takes Lead on Climate Action at Regional Climate Summit 2023"

GP played an active role as a gold-sponsor in the Regional Climate Summit 2023, held in Dhaka from 8th – 10th September. GP took the lead in several pivotal sessions and advocated for the Corporate PPA policy. A noteworthy accomplishment of the summit was the inclusion of a critical policy initiative in the official declaration: “The need to enable a policy for the Corporate Power Purchase Agreement (CPPA)”. This initiative aligns perfectly with our ambitious climate goal of achieving a 50% reduction in CO2 emissions by 2030 and will facilitate private sector access to renewable energy from Independent Power Producers (IPPs) through the grid. Our proactive involvement in advocating for the CPPA policy underscores our dedication to sustainability and our support for Bangladesh's renewable energy objectives.

Honorable ICT state minister on Grameenphone Academy Stage

Grameenphone Academy has recently hosted another impactful Masterclass, this time with host Zunaid Ahmed Palak MP, the Hon’ble State Minister of ICT Division, as the Guest Speaker.

350+ academy students along with GP senior leaders in the audience panel listened to the vision of Smart Bangladesh 2041 and its connection to the future leaders of the nation. Minister conducted 40 minutes QnA session after his masterclass and took notes of the academy students’ comment and questions. The academy will collaborate with ICT ministry to share the concept notes of the students to the ministry.

The journey of crucial stakeholder engagement is always a challenging role that the Social Impact team played this time directly getting into the field. Visiting ICT ministry, tracking every calendar day, getting the minister’s call in the mid-night, potential chaos threat of political movement of both party on the same day were making the whole show nerve wrecking. however, as proverb goes ‘all well that ends well’- this goes for us this time. Finally, it came out as one of the most successful events in terms of stakeholder engagement. It was a one-hour session for the minister which overrun by 70 minutes.

At the event, Grameenphone CEO Yasir Azman told, “TIME is NOW, for us to focus on getting future-fit, and unleash the potential of Bangladesh in the coming days. We must keep an open mind for learning and growing, because the heights of our dreams determine the heights of our next achievements”.

Special thanks to PRA team for their support & guidance.

Partnership continues with Bishwo Shahitto Kendro (BSK)

The 20-year long partnership continues with Bishwo Shahitto Kendro (BSK). On 21 April 2024, we signed an agreement to support BSK in their Book Reading Programme that aims to stimulate habit of reading amongst millions of children with the ambition to nurture a thoughtful future generation. Grameenphone have been supporting Bishwo Shahitto Kendro since 2004 in different capacity to support the cause. We are delighted to continue the journey to inspire children form the habit of reading books. This year 16,000 students will receive prizes for their book reading habit. These prizes will be distributed through five prize giving ceremonies in Chattogram, Barisal, Dhaka, Rajshahi, and Khulna.

Expressing gratitude to Grameenphone the Founder and Chairman of Bishwo Shahitto Kendro, Professor Abdullah Abu Sayeed, said “As a result of this collaboration, the reach of the National Enrichment Programme (Book Reading Programme) has expanded, and there has been a significant increase in students' interest in reading and we hope that this collaboration will continue seamlessly in the future”.

Later, Professor Abdullah Abu Sayeed also spend some time interacting with some avid GP colleagues at an informal session at the Innovation Lab where he shared some very thought-provoking stories from his life experience and inspired the audience.

SDG Brand Champion Award

It is a great honor for Grameenphone to be recognized by SDG Brand Champion Award for the work we are actively doing to empower societies, specially focusing on Youth Empowerment, Digital Inclusion & Online Safety.

We have received the honorable mention in the category of sustainable partnership & institutions. Grameenphone stands out as one of the few organizations in Bangladesh working with such strong array of global and local development partners such as UNDP, Plan International, UNICEF, Cisco, BDRCS & BRAC to create a positive impact in the lives of millions.

The recognition from the Brand Forum and the honorable jury is a great inspiration for taking our journey forward to Empower Societies!

Big shout out the GP team who has been supporting, inspiring and delivering all the hard work! Congratulations to the team

Pages

grameenphone