ঝুকিপূর্ণ শিশুদের সহায়তায় চাইল্ড হেল্পলাইন- ১০৯৮ এর কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে

অক্টোবর ১২ 2015

আজ একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম চাইল্ড হেল্প লাইন- ১০৯৮ সম্প্রসারণে ইউনিসেফের সাথে অংশীদার হিসেবে যোগ দিয়েছে গ্রামীণফোন।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এই উপলক্ষে ইউনিসেফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেডার ও গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে টেলিনরের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসার হ্যান্স মার্টিন হোয়েগ হেনরিকসন।

২০১১ সাল থেকে এ চাইল্ড হেল্পলাইন ঝুঁকির মধ্যে থাকা রাজধানীর অসহায় ও দুঃস্থ শিশুদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বিনামূল্যের ১০৯৮ চাইল্ড হেল্পলাইনটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পে সহযোগী এনজিও অপরাজেয় বাংলাদেশের মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ। ঝুঁকির মধ্যে থাকা শিশু ও এসব শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করছেন এ হেল্পলাইন থেকে ২৪ ঘণ্টাই তাদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ হেল্পলাইন সেবা শিশুদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়, পুনর্বাসন ও নেটওয়ার্কের আওতাভুক্তকরণের মাধ্যমে এসব শিশুদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।

অনুষ্ঠানে এডওয়ার্ড বেগবেডার বলেন, চাইল্ড হেল্পলাইন এতটাই সফল হয়েছে যে, আমরা এ সেবার সম্প্রসারণ করতে চেয়েছি। গ্রামীণফোন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের সে চাওয়াটা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে আরও বেশি সংখ্যক অসহায় শিশু তাদের প্রয়োজনে যেকোনো সময় পেশাদারী সহায়তা পাবে। আমরা গ্রামীণফোন ও মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদের এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান বলেন, সমাজের ক্ষমতায়নের দিকেই গ্রামীণফোনের দৃষ্টি। দুর্দশাগ্রস্ত শিশুদের ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে চাইল্ড হেল্পলাইন নিজেকে প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশে এ সেবার প্রসারণ ঘটাতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট। সমাজের ক্ষমতায়নে এ ধরনের উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর গ্রামীণফোন এ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ইউনিসেফের সাথে কাজ করতে পেরে গর্বিত।

টেলিনর বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসার হ্যান্স মার্টিন হোয়েগ হেনরিকসন বলেন, মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুদের অধিকার রক্ষায় বৈশ্বিকভাবে সহযোগিতার ভিত্তিতে ইউনিসেফের সাথে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্র নিয়ে টেলিনর গর্বিত। দেশের অর্থনীতি ও সমাজ কল্যাণের ক্ষেত্রে টেলিকম খাত যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে তা প্রমাণিত। যেসব জায়গায় আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করছি সেখানে যোগাযোগ-প্রযুক্তির সব সুবিধার প্রসারণ ঘটানো আমাদের অন্যতম প্রয়াস।

পাইলট প্রকল্পের সফলতার ওপর নির্ভর করে গ্রামীণফোন অতিরিক্ত ১০টি উপজেলা এবং ঢাকা ও খুলনাসহ দু’টি সিটি করপোরেশন ও দাকোপ, ডিমলা, ডোমার, নীলফামারী সদর, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ‘চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮’ সম্প্রসারণে সহায়তা করছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে টেলিনর এএসএ ও ইউনিসেফের বৃহত্তর বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত প্রকল্পটি ইউনিসেফ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক নির্দেশের অধীনেই পরিচালিত হচ্ছে।

grameenphone