টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৫ এর গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত

অক্টোবর ১১ 2015

বাংলাদেশে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বিজয়ী হিসেবে ইন্সটিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর আবরিশমে হক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিয়া আজাদ, এবং আইবিএ এর শাবাব রহমান এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

গ্রামীণফোন বাংলাদেশে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ৩য় পর্ব সংস্করণ শেষ করেছে। এই নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত এই ফোরামে ১৩টি দেশের ১৮ থেকে ২৮ বছরের তরুণ তরুণীরা জীবন বদলানো ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ পাবে। এবছরের ফোরামের মূলভাব "সবার জন্য শিক্ষা।"

বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের জন্য গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয় ১০ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এবছরের বিজয়ী ধারণাগুলো হচ্ছে মুঠোস্কুল, দি লেফট সাইড ক্লাসরুম এবং দি গ্লাস রুম। টেলিনর গ্রুপ এখন এই সেরা তিন আইডিয়া থেকে অসলোতে অনুষ্ঠিতব্য ফোরমে বাংলাদেশের প্রতিনিধি বাছাই করবে।

কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত ৭ জন প্রতিযোগী গ্রামীণফোন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, দেশীয় উদ্যোগতাদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল এবং সরকারি কর্মকর্তা ,সাংবাদিক,ডিজিটাল ও সোশাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের ধারণা উপস্থাপন করে। এই সাত জনের মধ্যে তিনজন কে ডিসেম্বরের ৮ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে অসলোতে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হন।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ, বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মেরেটে লুনডেমো এবং গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বিজয়ীরা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের বিজয়ীদের সাথে অসলোতে তিনদির সম্মেলনে মিলিত হবে যেখানে তরুণ বিজয়ীরা মোবাইল ও ডিজিটাল প্রযুক্তির রূপান্তরের ক্ষমতাকে বোঝার চেষ্টা করবে। তারা নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ারও সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন,আমি গ্রামীণফোনকে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই অনুষ্ঠান আমাদের তরুণদের ভিশন ২০২১ এর প্রস্তুতি নিতে উৎসাহ দিচ্ছে। এই উদ্যোগ তরুণদের শুধু জাতীয় পর্যায়েই নয় বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রযুক্তি ও দক্ষতা দ্বারা ক্ষমতায়ন করছে।

গ্রামীণফোন এবছরের আগস্ট মাসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের সূচনা ঘোষণা করে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থী এবং আগ্রহী প্রতিযোগীদের ধারণা পত্র জমা দিতে আহবান জানায়।

অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন,"বাংলাদেশ একটি নবীন ও গতিশীল রাষ্ট্র যার জনগণও নবীন ও গতিশীল। আজকের প্রজন্মের যে সৃষ্টশীলতা ও দক্ষতা আছে তা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে। এই প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহার করে আজকের পর্যায়ে এসেছে এবং তাদের এখন এই প্রযুক্তিকে সারা দেশে সবার কাছে পৌছে দিতে হবে। এই কাজে গ্রামীণফোন এবং টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম হতে পারে কার্যকর সহযোগী।

গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক ক্ষমতায়ন। ইয়ুথ ফোরামের মাধ্যমে টেলিনর সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ডিজিটাল ও মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহারে তরুনদের ক্ষমতায়ন করছে।

grameenphone