আগামীর কৃষক, ই-কৃষক

এপ্রিল ০৭ 2015

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) কৃষকদের তথ্য নিভরর্ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ সেবা এবং বাজার সংযোগায়ন সেবা দানের লক্ষে গ্রামীনফোন এবং কৃষি সম্প্রসারণর অধিদপ্তর এর যৌথ সহযোগিতায় দেশব্যাপী “আগামীর কৃষক, ই-কৃষক” শীর্ষক একটা ক্যাম্পেইন আয়োজন করে । এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ যুব সমাজ তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে যেন তাদের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারেন । কৃষক এবং কৃষি পণ্য ব্যবসায়ীগন কিভাবে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে, সঠিক ও কার্যকর কৃষি সম্প্রসারণ সেবাসমূহ পেতে পারেন সে বিষয়েসচেতনতা সৃষ্টি করা হয় । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), গ্রামীণফোন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এর যৌথ জয়যুক্ত অভিযান “আগামীর কৃষক, ই-কৃষক" এর সেরা উদ্ভাবনী ধারণা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঘোষণা করে আনন্দিত। ৭ এপ্রিল,২০১৫ মঙ্গলবার, সকাল ১০.০০, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, খামারবাড়ী, র্ফামগেইট, ঢাকা, উক্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনাব হাসানুল হক ইনু, এমপি মাননীয় মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে, শীর্ষ তিন আইডিয়া প্রদানকারী বিজয়ীদের, তিন অগ্রসর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও তিন বিশেষ উদ্যোক্তাদের কৃষি ক্ষেত্রে তাদের অবদান হিসাবে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

ক্রমবর্ধমান মোবাইল এবং ইন্টারেেনটর ব্যবহার এবং তথ্য কেন্দ্রের প্রসার কৃষকদের ক্ষমতায়ন ও স্টেক হোল্ডারদের প্রয়োজনীয় সেবার একটি যথাযথ সমাধানের সুযোগ করে দেয়। “ আগামীর কৃষক, ই-কৃষক” কিভাবে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সম্প্রসারণ সেবা গ্রহন করে তরুণ কৃষকেরা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করে কৃষিকে একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠাতে করতে পারেন সে বিষয়ে সহায়তা করে । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) ২০০৮ থেকে আইসিটি ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে । ২০০৮ সালে বিআইআইডি ১০ টি স্থানে ই-কৃষক ক্যম্পেইনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে যা ২০১০ সালে একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে গ্রামীণ ফোন, ক্যাটলিস্ট এবং অঈও লিঃ এর সহযোগিতায় ই-কৃষক সেবা ৩৫০টি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। ২০১২ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও দক্ষতার সাথে কৃষি সম্প্রসারণ সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে বিআইআইডি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে । গ্রামীণফোন "সবার জন্য ইন্টারনেট" এর অংশ হিসাবে এই অভিযান সমর্থতন করেছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের মানুষের কাছে ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক সুবিধা পৌঁছে দিতে চায়।

“আগামীর কৃষক, ই-কৃষক” এর অনন্য মাইলফলক হচ্ছে সামাজিক মিডিয়ার সম্পৃক্ততা, যেটি কৃষি ভিত্তিক প্রচারনার ক্ষেত্রে এ দেশে নূতন । এ কাজে বিআইআইডি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জড়িত করে । শহুরে এবং গ্রামীন উভয় অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই বিপুল উৎসাহ নিয়ে কৃষি খাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক আইডিয়া জমা দেয় যার যথাযথ ব্যবহার কৃষিখাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে । আইডিয়া জমা দান বিষয়ক প্রতিযোগিতায় স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার সহ ১০০ স্থানে “আগামীর কৃষক, ই-কৃষক” ক্যাম্পেইনে প্রায় ১০০০০০ তরুণ কৃষক, কৃষি পণ্য ব্যবসায়ী এবং অন্যান্যরা অংশগ্রহান করেন, এবং ১৫,০০০ এর বেশী লোক সরাসরি অংশ নেয় যাতে প্রায় ৭০০ আইডিয়া জমা হয় । সেরা ১০০ আইডিয়া গুলো নির্বাচিত করে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান এবং তাদের উদ্ভাবক প্রচেষ্টার অনুপ্রেরণা হিসাবে ই-কৃষক ওয়েবসাইট (www.ekrishok.com) এ প্রকাশিত করা হয়েছে । এছাড়াও একস্থানের বিজয়ীকে অন্য স্থানের বিজয়ীদের সাথে মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে পরিদর্শন করানো হবে এবং তাদের কাজ তথ্য চিত্রের মাধ্যমে ধারন করা হবে। ই-কৃষক এর মাধ্যমে আগামীর কৃষক, ই-কৃষক সেবা চলবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে স্মার্ট ভিলেজের মাধ্যমে এ কার্যক্রমকে প্রসারিত করা হবে।

গ্রামীণফোন তার "ইন্টারনেট ফর অল" কর্মসূচীর অধীনে এই উদ্যেগে সহায়তা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারনেট সংযোগ এবং যথাযথ সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সবার কাছে ইন্টারনেটের সুবিধাগুলো পৌছে দিতে চায়।

grameenphone