ফিউচার নেশন

ফিউচার নেশন

প্রতিবছর বাংলাদেশে ২০ লাখেরও বেশি তরুণ কর্মসংস্থানে যোগদানের সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু অ্যাকাডেমিক পাঠ্যক্রম এবং কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতার মধ্যে বিদ্যমান ব্যবধানের কারণে প্রতিবছর তরুণদের বেকারত্বের কঠোর বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয় এবং এ সমস্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৈশ্বিক মহামারির পরবর্তী অবস্থায় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকার কারণে এ পরিস্থিতি এ সংকটপূর্ণ হয়েছে, যেখানে তরুণদের জন্য শোভন কাজের সুযোগ কমে গিয়েছে। কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য শোভন কাজের সুযোগ তৈরি এবং তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা বিকাশের ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টা হিসেবে ফিউচার নেশন প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।

এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণদের জন্য নির্দিষ্ট দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন করে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে উচ্চ বেতনের চাকরি গ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতে আয়ের নতুন প্রবাহ তৈরি করবে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশজুড়ে পরবর্তী প্রজন্মের উদ্যোক্তা গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেয়া হবে।

কাঠামোগত দিক দিয়ে ফিউচার নেশন উদ্ভাবনী একটি প্রোগ্রাম এবং এ ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন এবারই প্রথম। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি এবং গ্রামীণফোন অন্যতম বেসরকারি খাতের অংশীদার হিসেবে সরকারের সাথে একসাথে এ ধরনের প্রথম পিপিডিপি (পাবলিক, প্রাইভেট, ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিও) কর্মসূচি নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ স্বপ্ন ও সম্ভাবনায় পূর্ণ একটি দেশ এবং আগামী ২০ বছরে আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন নির্ভর করছে তরুণদের ওপর যারা ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন। আগামী দিনগুলোতে জাতির জন্য বৃহত্তর অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে সঠিক দক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার সাথে তরুণদের ক্ষমতায়ন করে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অর্জনে এ প্রজন্মের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করবে ফিউচার নেশন।

ফিউচার নেশন ইতোমধ্যেই এ ইকোসিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এ প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ), জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) এর মধ্যে অংশীদারিত্ব সম্পন্ন হয়েছে। সামনে একাধিক ডিজিটাল ও ফাউন্ডেশনাল দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং অর্থনৈতিক সুযোগ উন্মোচনে নানা কর্মসূচি নিয়ে আসতে কাজ করছে ফিউচার নেশন।

grameenphone